স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে। একই বছরে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে কুয়েতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে। এর ৩৭ বছর পর সাফ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও কুয়েতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
আগামী শনিবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও কুয়েত। ১৪ বছর পর আবারও সাফের সেমিতে খেলতে নামবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
শ্রীলংকা ফুটবল দল ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় আমন্ত্রিত দল হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসেছে কুয়েত। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান, নেপাল এবং ভারতের মুখোমুখি হয় তারা। পাকিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের পর ভারতের সঙ্গে ড্র করে এ-গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিফাইনালে এসেছে কুয়েত।
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে হারলেও মালদ্বীপ ও ভুটানকে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ফলে বি-গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে খেলছে জামাল-তপুরা।
বর্তমান সময়ে দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যোজন যোজন এগিয়ে। ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্য ৫১। তবে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবারও দেখা হচ্ছে জামাল ভূঁইয়াদের। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলায় কোনো ধরনের ছাড় দিতে নারাজ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শিষ্যরা। কুয়েতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন