সৌদি আরবের আল নাসরে খেলা বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং তার সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ সম্প্রতি তাদের পারিবারিক ভ্রমণের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। সুখী পরিবারের ছবিগুলোর মধ্যে অবশ্য একটি দর্শকদের নজর কেড়েছে। বলা হচ্ছে রোনালদোর ছেলে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়রের কথা। মাত্র কয়েক বছরেই অসাধারণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে তার মধ্যে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিগুলো শুধু তাদের ব্যক্তিগত দ্বীপের সৌন্দর্যই নয়, রোনালদো জুনিয়রের চমকপ্রদ বৃদ্ধিকেও প্রদর্শন করেছে, যিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সেই প্রায় তার বাবার সমান শারীরিক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন।
ডিসেম্বর ২০২২ সালে আল নাসর এফসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে, রোনালদো সৌদি আরবকে তার বাড়ি বানিয়েছেন এবং দেশের পর্যটন দূত হিসেবে নিজের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। শেয়ার করা একটি ছবিতে, রোনালদোকে পরিষ্কার পানির ধারে শিথিল অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। যার ক্যাপশনে লেখা ‘রিলোডিং’ যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তার সুগঠিত শরীর উভয়ের ওপরে জোর দেয়।
তবে, অপ্রত্যাশিতভাবে রোনালদোর স্পটলাইটটি ছিনিয়ে নিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। যিনি একসময় তার বাবার সঙ্গে মাঠে যেতেন এখন সেই পিচ্চি রোনালদো জুনিয়রই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং পরিপক্বতা নিয়ে প্রায় অচেনা হয়ে উঠেছেন। তার বাবার পাশে দাঁড়িয়ে, এই তরুণ খেলোয়াড় একটি উপস্থিতি প্রদর্শন করেছেন যা তার বয়সের তুলনায় বেশ পরিণত। অনেক ভক্তের মতে এটি ইঙ্গিত করে যে ভবিষ্যতে তিনি তার বাবার ক্যারিয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
বর্তমানে আল-নাসরের অনূর্ধ্ব-১৩ ক্যাটাগরিতে খেলা, ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র ইতোমধ্যেই ফুটবল জগতে নিজের পরিচিতি তৈরি করতে শুরু করেছেন। ছবিগুলোতে তার চমকপ্রদ গঠন এবং আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পাচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি শুধু তার বাবার শারীরিক গুণাবলিই নয়, তার ক্রীড়া দক্ষতাও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন।
পরিবারের এই ভ্রমণ অবশ্য রোনালদো পরিবারের শান্ত এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রাকে তুলে ধরেছে। তবুও, ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনই ভক্ত এবং অনুসারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সৌদি আরবে রোনালদো পরিবার বাদেও সকলের চোখ এখন ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের দিকে, দেখতে যে তিনি কী তার বাবার পথ অনুসরণ করবেন এবং ফুটবলের জগতে নিজের পথ তৈরি করবেন। সর্বশেষ ছবিগুলো সম্ভবত সময়ের পরিবর্তন এবং ফুটবলের জগতে ঝড় তোলার জন্য একটি নতুন প্রজন্মের উদ্ভবের কথাই জানাচ্ছে।
মন্তব্য করুন