টেনিসের প্রতি ঝোঁক ছিল খুব ছোট্ট থেকেই। তবে বাধ সেধেছিল পরিবার তথা সমাজ। বিশেষ করে মুসলিম পরিবারের মেয়ে ছোটখাটো পোশাক পরে খেলবে টেনিস, তা মানতে কষ্ট হয়েছিল অনেকের। শেষ পর্যন্ত বাবা-মায়ের পূর্ণ সমর্থন ছিল বলেই হয়েছিল স্বপ্নপূর্ণ। উঠতে পেরেছিলেন খ্যাতির চূড়ায়। হয়েছেন অনেকের আইডল। বলা হচ্ছে ভারত তথা উপমহাদেশের টেনিসের গ্লামার গার্ল সানিয়া মির্জার কথা।
বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করো না, কালো হয়ে যাবে। পরে আর বিয়ে হবে না। বয়স যখন ৮, তখন এমন বৈষম্যমূলক কথা শুনতে হয়েছে সানিয়াকে। তবে ছয় বছর বয়সে টেনিসে হাতেখড়ি নেওয়া হায়দরাবাদের এই বালিকাকে আটকানো যায়নি। সমাজের সব বিদ্রূপ পাশ কাটিয়ে ঠিকই ছুটে গেছেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। টেনিসকে বিদায় বলা তারকা এই অ্যাথলেট সম্প্রতি আলোচনায়।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ছেলে হয়ে জন্মালে ক্রিকেটকেই বেছে নিতেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়ে জন্মাতাম, তাহলে হয়তো ক্রিকেটই খেলতাম। এমনিতে মনে হয়, ক্রিকেট খেলাটা যেন আর পাঁচটা খেলার থেকে আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি মেয়ে হওয়ার জন্যই হয়তো মনে হতো ক্রিকেটটা আমাদের খেলা নয়। এই চিন্তাধারাটা অবশ্যই হালের নয়। আমি বলতে চাই, সেটা প্রায় ত্রিশ বছর আগের সাধারণ ভারতীয়-মনোভাব।’ টেনিস ছাড়ার পর অবসর-পরবর্তী ক্যারিয়ার হিসেবেও বেছে নেন ক্রিকেটকে। সর্বশেষ নারী আইপিএলের জন্য রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দায়িত্ব পালন করেন টেনিস এই কিংবদন্তি। দলটিতে তিনি কাজ করেন মেন্টর হিসেবে।
মন্তব্য করুন