শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নীল তিমিরা কেন আত্মহত্যা করে?

সমুদ্রসৈকতে মৃত তিমি। ছবি : সংগৃহীত
সমুদ্রসৈকতে মৃত তিমি। ছবি : সংগৃহীত

গভীর সমুদ্রের তলদেশে লুকিয়ে আছে অজানা রহস্য, যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। রহস্যজনক এই সমুদ্রতলে লুকানো রয়েছে এমনই কিছু প্রাণী যাদের অনুভূতি বোঝা আমাদের জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার। এমনই এক প্রাণী হলো নীল তিমি, যাদের রয়েছে আবেগ-অনুভূতি এমনকি রয়েছে অপর সঙ্গীর প্রতি প্রবল মায়া।

তিমিকে সাধারণত বলা হয়ে থাকে সমুদ্রের দানব। এই বিশাল দেহের প্রাণীটি পরিচিত মায়াময় প্রাণী হিসেবেও। এরা কেবল এদের বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং পরিচিত এদের একে অপরের প্রতি মমতা, শোকের বহিঃপ্রকাশের জন্য। পরিবারের জন্য শেষ চেষ্টা করতে এদের যে লড়াই, তা জানলে যে কারোরই হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করলেও এরা নিজেকে এক সময় মৃত্যুর দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পৃথিবীর সাথে সকল মায়া এরা স্বেচ্ছায় পরিসমাপ্তি মেনে নেয়। আর তাই অনেকের মনে কৌতূহল তৈরি হতে পারে, কেন তারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর দিকে পা বাড়ায়?

বিভিন্ন কারণে এরা নিজেদের মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নেয়, এরমধ্যে একটি কারণ হলো, বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা অসুস্থ হয়ে যাওয়া। নিজের সময় ঘনিয়ে আসছে, এমনটা অনুভূত হলে এরা পানির একেবারে পানির গভীরে চলে যায়। এ সময় তাদের শক্তি ফুরিয়ে আসে, যার কারণে এরা শিকার করতে পারে না। এক সময় এরা নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে।

এরপরই নিজেকে সমুদ্রের গভীরে নিজেকে সঁপে দিতে প্রস্তুত হতে থাকে এই নীল তিমি। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা এ সময় চেষ্টা করে তাদের পাশে থাকার। এমনকি তাদের বাঁচানোর শেষ চেষ্টাটুকু চালিয়ে যায়। বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মতে, যখনই এই নীল তিমিগুলো শিকার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে তখন থেকেই মূলত এদের অন্তিমকাল ধরা হয়।

এ সময়ই তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। কিন্তু পরিশেষে জীবনের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় এই প্রাণীটি। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে এবং একসময় গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যেতে শুরু করে। মৃত্যুর পরই তাদের জীবনের পরিসমাপ্তি না। এরা মারা গেলে নিজেকে বিলিয়ে দেয় অন্যান্য প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

তিমি মারা গেলে এদের দেহ সমুদ্রের নিচে চলে যায়। তখন অন্যান্য প্রাণী একে ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলে। ফলে সমুদ্রের নিচে থাকা এসব প্রাণীর বেঁচে থাকার মাধ্যম হিসেবে তৈরী হয় তিমির এই মৃতদেহ। আর এভাবেই মৃত্যুর পরও এরা নিজেকে বিলিয়ে দিতে থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রশাসন ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক : ডিসি অন্নপূর্ণা

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

আ.লীগ নেতা মুকুল গ্রেপ্তার

বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল কলেজশিক্ষার্থীর

দলের প্রশ্নে আমরা সবাই এক : নজরুল ইসলাম আজাদ

নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ৬০ লাখ টাকা মু‌ক্তিপণ দাবি

মেসির ভারত সফরে যুক্ত হলো আরও একটি শহর

বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

শিশু আফিয়ার জন্য তারেক রহমানের বিশেষ উপহারের ঘর নির্মাণ শুরু

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতল পর্তুগাল

১০

পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না নাঈমের

১১

সবাই মিলেমিশে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলব : সেলিমুজ্জামান

১২

সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা বাসে আগুন

১৩

বেপরোয়া বাসচাপায় প্রাণ গেল নানি-নাতনির

১৪

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউকে–ইউরোপ–অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এক্সপো

১৫

নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করলেই তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : আবদুল আউয়াল মিন্টু 

১৬

বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার পর অস্ত্র হাতে থানায় যুবক

১৭

টানা ৯ ঘণ্টা সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার

১৮

রাতের আঁধারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৯

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’

২০
X