প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আলোকিত ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে প্রকাশ করা হয়েছে ‘ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ফিউচার’ বেইজলাইন সার্ভে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জিপি হাউজে টেলিনর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নরওয়ের অংশীদারত্বে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এ সার্ভে পরিচালনা করা হয়।
আলোচনায় বেইজলাইন সার্ভের ফলাফলে গুরুত্বারোপ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে অনলাইন নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কৌশলগুলো তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এটা শুধু ডিজিটাল রূপান্তরই নয়; পাশাপাশি কিশোরী ও তরুণীদের অগ্রাধিকার দিয়ে একটি যাত্রার সূচনা। কেন না, তারাই দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যুগান্তকারী এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা ও ইন্টারনেট নিরাপত্তা জোরদার করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য নাগরিকদের প্রস্তুত করে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে, আমাদের ডিজিটাল স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হবে, যেন স্মার্ট নাগরিকদের হাতে তাদের নিজস্ব সমাধান থাকে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ডিজিটাল সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গবেষণা, প্রশিক্ষণ, উদ্যোগ গ্রহণ ও জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত রূপরেখা তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক এবং সিএএমপিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী লৈঙ্গিক সমতা এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বেইজলাইন জরিপের ফলাফলের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং দক্ষতার তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং সবার জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন