পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। চা বাগানের শিশুদের প্রাক স্কুলে আসার কারণে তাদের আচরণগত পরিবর্তন হয়েছে। শিশুকে নিয়েই কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ চা বাগানের শিশুরা কমিউনিটির বাইরে নয়।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এডুকো বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এডুকো বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে ‘চা বাগান ও হাওর অঞ্চলে শিশুর ইসিডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও বিকাশ’ শীর্ষক আলোয় আলো প্রকল্পের অগ্রগতি ও শিখনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন ড. মনজুর আহমেদ বলেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে ইসিডি কার্যক্রমের সাথে সামষ্টিক প্রোগ্রামকে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের একত্রীকরণের মাধ্যমে ইসিডি কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ বলেন, এডুকোর প্রত্যাশা বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের সদস্যদের অভিজ্ঞতা আলোয় আলো প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যৎ ইসিডি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা। আলোয় আলো প্রকল্প মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ২০১৯ সাল থেকে শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের সক্ষম পরিবেশ তৈরি করতে সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করছে। পাশাপাশি শিশু অধিকার, শিক্ষা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, লাইভলিহুড এবং সুরক্ষার প্রচারে কাজ করে আসছে। এডুকো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে একটি সমন্বিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। যেখানে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডে-কেয়ার, ইসিডি, স্কুল এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের সুরক্ষা ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত হয়।
এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়াকের ভাইস চেয়ারপারসন মাহমুদা আক্তার। আরও উপস্থিতি ছিলেন সদস্য সচিব সৈয়দা সাজিয়া জামান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আলোয় আলোয় প্রজেক্টের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ তৌহিদ ফেরদৌস। আরও উপস্থিতি ছিলেন এডুকো বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক ফারজানা খান, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন