বাংলাদেশের অনেক নারী এখনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক।
তিনি বলেছেন, আমাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে হবে। যদিও অগ্রগতি হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক নারী এখনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এটি কেবল সুবিধার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায়ন সম্পর্কে। তথ্য আমাদের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) আর্থিক সহযোগিতায় দ্য কার্টার সেন্টার এবং তথ্য কমিশন বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মসূচির নতুন প্রকল্প পরিচিতি ও অবহিতকরণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখছে এই প্রকল্প। মানবিক সম্ভাবনা, বিশেষ করে প্রান্তিক নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-কে সম্পূণরূপে কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০টি জেলায় বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করা হয় অবহিতকরণ সভায়।
দ্য কার্টার সেন্টারের রুল অব ল প্রোগ্রামের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক হিলারি ফোর্ডেন অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘দ্য কার্টার সেন্টার ইউএসএআইডি এর সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত নিবিষ্টতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আগামী দিনগুলোতেও এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের অভাবে গণতান্ত্রিক শাসনের মৌলিক দিকগুলিকে বাধাগ্রস্ত করে তুলে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি সরকারকে ক্রমাগত মানিয়ে নিতে হবে, যাতে করে জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহ করে এবং অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ইউএসএআইডি-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে এশলিম্যান প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মানুষের জীবনমানের অগ্রগতিতে সকলের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটিকে একটি যাত্রা হিসেবে স্বীকার করে আমাদের একসাথে চলতে হবে, ইউএসএআইডি এবং দ্য কার্টার সেন্টার ও চমৎকার অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকতে পেরে গর্বিত কারণ তারা রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খাগড়াছড়ি এবং সিলেটসহ ১০টি জেলায় তথ্যে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়াতে কাজ করছে।
প্রকল্প অবহিতকরণ সভার শুরুতে সুমনা সুলতানা মাহমুদ, চিফ অব পাটি প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রারম্ভিক বক্তব্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু, সমাজের অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই কর্মসূচির গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন