বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আসকের আলোচনা সভায় বক্তারা

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আইনে যৌন হয়রানির কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞার কথা বলা নেই। নারীকে স্পর্শ না করেও হয়রানি করা যায় সেখানে আইনের সীমাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া শ্রম আইনে মহিলা শব্দের কথা বলা আছে যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়। শক্তিশালী ও স্পষ্ট আইন তৈরি না হলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আয়োজনে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তব্য দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল, অগ্নি প্রকল্প সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা।

যৌন হয়রানি বন্ধে বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন আসমা খানম রুবা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৯৪ ধারায় যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ নেই ও শাস্তি কেবল তিন মাস। ৩৫৪ ধারায় নারীর ‘শালীনতা’ নষ্টের কথা উল্লেখ থাকলেও এই শব্দের কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে ৭৫ ও ৭৬ ধারায় যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ থাকলেও শাস্তি যথাক্রমে তিন মাস ও এক বছর এবং জরিমানা যথাক্রমে পাঁচশ ও দুই হাজার টাকা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এ অভিযুক্তের শাস্তির পরিধি বৃদ্ধি পেলেও নারীর অঙ্গ স্পর্শ করার কথা বলা হয়েছে যা বেশ সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইনে ‘মহিলা’ শব্দের ব্যবহার রয়েছে যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয়।

সভায় জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনো আইন প্রণীত হয়নি, যার কারণে আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা প্রদানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আবু আহমেদ ফয়জুল বলেন, নারীরা যৌন হয়রানি নিয়ে কথা বলতে চান না। একটা আদালতে এত মামলার জট থাকে অনেকে আর মামলা চলমান রাখে না। রায় আসতে পাঁচ-ছয় বছর লেগে যায় বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে এই কারণে অনেকেই মামলা করতে চান না। আইনের অনেক ফাঁকফোকড় আছে। এই জায়গাগুলো শক্তিশালী করতে না পারলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১০

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১১

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১২

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৩

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১৪

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১৫

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১৬

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৭

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৮

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

১৯

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

২০
X