পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। একই সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারকে বৈধতা দেয়, এমন কার্যক্রম থেকে অন্যান্য সদস্য দেশকে বিরত থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছে আফ্রিকার ৫৫ দেশের জোটটি।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে পরের দিন বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক সরকার।
তাদের এ সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস। সেনা অভ্যুত্থানের পর নাইজারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইকোওয়াস। ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন ইকোওয়াসের নেতারা। এরপর আজ দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করল আফ্রিকান ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কাউন্সিল জানিয়েছে, ইকোওয়াসের স্ট্যান্ডবাই ফোর্স সক্রিয় করার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাইজারে এ সেনা মোতায়েন করলে কী ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রভাব পড়তে পারে, তা মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
এ ছাড়া অবিলম্বে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্তি দিয়ে অভ্যুত্থানকারীদের সেনা শিবিরে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে জোটটি।
তবে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তিন বছরের সময় চেয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ১৯ আগস্ট মধ্যরাতে এমন প্রস্তাব দেন জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল আবদুর রহমান চিয়ানি।
মন্তব্য করুন