কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা কতটুকু?

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। ছবি : সংগৃহীত

গাজা পুরোপুরি দখলের ঘোষণা দিয়েই বিপাকে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ঘোষণা ঘিরে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ, রাস্তায় নেমে এসেছে লাখো মানুষ। শুধু অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও সংকটে পড়ছে ইসরায়েল। একে একে মিত্র দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে জানা গেছে, নেতানিয়াহুর গাজা দখল পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট নন সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। তিনি উল্টো প্রধানমন্ত্রীকে জিম্মি বিনিময় চুক্তি মেনে নিতে চাপ দিচ্ছেন। সেনাপ্রধান ও সরকারপ্রধানের এই দূরত্বকে ঘিরেই বাড়ছে জল্পনা-কল্পনা : ইসরায়েলে কি তবে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে পারে?

সেনাবাহিনীর অসন্তোষ

ইসরায়েলি সেনারা প্রকাশ্যেই সতর্ক করেছে- পুরো গাজা দখল করতে প্রয়োজন দানবীয় শক্তি ও বিপুল সংখ্যক সেনা। তাদের মতে, হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করলেও কাজটি সহজ হবে না। গাজা শহর পুরোপুরি ধ্বংস করতে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস, এমনকি এক বছরেরও বেশি সময়।

এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে সেনাদের ভেতর ক্লান্তি, ভয় ও হতাশা বাড়ছে। দুই বছরের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে শত শত সেনা, আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়েছে। মনোবল ভেঙে পড়ায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ কমে গেছে সেনাদের ভেতর।

সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন

তবু নেতানিয়াহু নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অটল। তিনি ইতোমধ্যে ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে ২ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট করতে বলেছেন। কিন্তু সেনাপ্রধান ইয়াল জামির প্রকাশ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিরোধিতা করছেন এবং জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে সমাধান খুঁজতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা কতটা?

বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর এমন দ্বন্দ্ব সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি ইসরায়েলে সামরিক অভ্যুত্থান অনিবার্য? বিভিন্ন জরিপ ও বিশ্লেষণ বলছে, এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। শক্তিশালী ডিপ স্টেটও এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে দেবে না।

সবচেয়ে সম্ভাব্য যে চিত্র দেখা দিতে পারে তা হলো- নেতানিয়াহুকে হয়তো হত্যা করা হতে পারে বা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে। এরপর নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ইতিহাসে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হত্যার নজিরও রয়েছে।

সব মিলিয়ে, ইসরায়েলে সামরিক অভ্যুত্থান সরাসরি না ঘটলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার টানাপোড়েন যে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X