

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন নগরবাসী, যা দেশটির ইতিহাসে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর প্রথম সরাসরি নির্বাচন। তবে বিরোধী দলগুলোর বয়কটের কারণে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি বিতর্কের ছায়ায় পড়েছে। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়) থেকে শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। প্রায় পাঁচ লাখ নিবন্ধিত ভোটার ৩৯০টি জেলা কাউন্সিল আসনের জন্য ভোট দিচ্ছেন। মোট ৫২৩টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১,৬০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে। একই সঙ্গে মোগাদিশুতে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
চলতি বছরে রাজধানীতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। গত অক্টোবরে গোষ্ঠীটি একটি বড় ধরনের হামলাও চালায়।
সোমালিয়ায় সর্বশেষ সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। ওই বছরের শেষ দিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর টানা কয়েক দশক সাধারণ জনগণ সরাসরি ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ১৯৯১ সালে মোহাম্মদ সিয়াদ বারে সরকারের পতনের পর গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে পরোক্ষ, গোত্রভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হয়, যেখানে গোত্রপ্রতিনিধিরা রাজনীতিক বাছাই করেন এবং তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত ছিল।
বর্তমান নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক চর্চায় ফেরার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে সরকার, যদিও বিরোধীদের অনুপস্থিতি ও নিরাপত্তা উদ্বেগ পুরো প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
মন্তব্য করুন