মাদক পাচারের অভিযোগে সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয় মৃত্যুদণ্ড দিল সিঙ্গারপুর। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ৫৪ গ্রাম হিরোইন পাচারের অভিযোগে ৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ সালেহ আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় মাদক ব্যুরো জানিয়েছে, চাঙ্গি কারাগারে লতিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি জাতিগতভাবেই মালয়েশিয়ার নাগরিক এবং ডোলিভারি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন : ২০ বছর পর প্রথম নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সিঙ্গাপুর
কেন্দ্রীয় মাদক ব্যুরো আরও জানায়, ৬০০ মাদকাসক্তের এক সপ্তাহের জন্য যথেষ্ট এমন পরিমাণ মাদক লতিফের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) সারিদিউ জামানি নামে বয়স ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর এবং গত বুধবার (২৬ জুলাই) মোহাম্মদ আজিজ বিন হুসাইনের নামের আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ ছাড়া দেশটিতে করোনা মহামারির পরে থেকে দুই বছরের মধ্যে অন্তত ১৬ জন দেশি-বিদেশি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির আইন অনুসারে ২৫ গ্রাম হিরোইন এবং ৫০০ গ্রাম গাঁজা পেলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ব্রিটিশ বিলিওনিয়ার স্যার বিচার্ড ব্রানসন সিঙ্গাপুরের মাদকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে বাধা হতে পারে না।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ছোটখাটো মাদক চোরাচালানকারীদের উচিত সহযোগিতা করা। কেননা তারা বেশিরভাগ সময়ে পরিস্থিতির শিকার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদক আইনের দেশগুলোর একটি সিঙ্গাপুর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদক আইনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
মন্তব্য করুন