তাইওয়ান ঘিরে নৌ ও বিমান মহড়া শুরু করেছে চীন। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) চীনা সামরিক বাহিনী এই যৌথ মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ‘কঠোর সতর্কবার্তা’ হিসেবে চীন এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১৩ আগস্ট সংক্ষিপ্ত সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান উইলিয়াম লাই। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে লাই জানান, প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পথে তিনি নিউইয়র্কে যাত্রাবিরতি করেন। এ ছাড়া সে অনুষ্ঠান শেষে তাইপে ফেরার পথে মার্কিন শহর সান ফ্রান্সিসকোতে দ্বিতীয় যাত্রাবিরতি করেন তিনি।
আগামী জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী লাই। তাইওয়ানের স্বাধীনতার ব্যাপারে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের চেয়ে বেশি সোচ্চার তিনি। আর এ কারণে লাইকে ভালো চোখে দেখে না চীন সরকার।
লাইয়ের এই সফর নিয়ে আগেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। এক সময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে চীনা সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানের চারপাশে যৌথ নৌ ও বিমান মহড়া শুরু করেছে। সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা পরীক্ষা করতেই এই যৌথ নৌ ও বিমান মহড়া। একই সঙ্গে এটি তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং তাদের উসকানি দেওয়া বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা।
এদিকে চীনের এই মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, আজ শনিবার সকাল থেকে দ্বীপের চারপাশে মহড়ায় অংশ নেওয়া ৪২টি চীনা যুদ্ধবিমান এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। এমনকি ছয়টি চীনা যুদ্ধবিমান চীন ও তাইওয়ানের মধ্যবর্তী সীমারেখা অতিক্রম করেছে। চীনের এই মহড়ার জবাবে যুদ্ধ জাহাজ ও বিমান মোতায়েন করেছে তাইওয়ান।
মন্তব্য করুন