যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইরান। তবে মার্কিন পাঁচ নাগরিকের মুক্তি দিয়ে নিজের জব্দ করা ৬০০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকি সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মাঝে বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে এটি সঠিক প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ইরানের কারাগার থেকে মার্কিন নাগরিকদের গৃহবন্দি করার পর হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন। এর দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিককে কারাগার থেকে গৃহবন্দি করে ইরান।
সুলিভান বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মাঝে বোঝাপড়া হয়েছে। সবকিছু আলোচনা অনুযায়ী আগাচ্ছে। তবে তাদের মুক্তির কোনো তারিখ জানাননি হোয়াইট হাউসের এ নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ আগে সংবাদমাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্দিবিনিময়ে সম্মত ইরান। তবে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ৬০০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চেয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তাদের জব্দ করা অর্থ ফেরত দিলে ইরানে বন্দি মার্কিন নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন।
এদিকে গত ১৫ আগস্ট বন্দিবিনিময়ে সম্মত হওয়ার পর এবার ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ইরানকে প্রতিরোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে নীতিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে দুই দেশের মাঝে বন্দিবিনিময়ের আলোচনা চলছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, এ চুক্তি কেবল বন্দিবিনিময়ের জন্য। এখানে অন্য কোনো দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে না। ইরানের সাথে এ সম্পর্কের উন্নতি বলতে কেবল বন্দিদের কারাগার থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এর সাথে আমাদের অন্য কোনো ধরনের অবস্থান পরিবর্তন হবে না। এটা কেবল আমাদের জনগণকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের সব প্রক্রিয়া বন্ধ বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন