বন্দি বিনিময়ে সম্মত হওয়ার পর এবার ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) তিনি সাংবাদিকদের সামনে দুই দেশের সম্পর্ক তুলে ধরেন। খরব আলজাজিরার।
অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরানকে প্রতিরোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে নীতিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে দুই দেশের মাঝে বন্দি বিনিময়ের আলোচনা চলছে। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের যে কোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিককে জেল থেকে গৃহবন্দি করার বিষয়টি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে তারা এখনো ঘরে ফেরেনি। ফলে এ চুক্তিটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমাদের নাগরিকরা দেশে না ফেরা পর্যন্ত আমরা থামবো না। তারা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও তেহরান বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে ইরানের কারাগারে বন্দি কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মুক্তি পাবেন। অন্যদিকে নিজেদের জব্দ হওয়া ৬০০ কোটি ডলার ব্যবহারের সুযোগ চায় ইরান।
ব্লিঙ্কেন বলেন, এ চুক্তি কেবল বন্দি বিনিময়ের জন্য। এখানে অন্য কোনো দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে না। আমরা আমাদের আগের সেই ইরানকে প্রতিরোধের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রাখব। এজন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের যে কোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরামাণু অস্ত্র অর্জনে বাধার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি ইরান সরকারের মানবাধিকারের অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেন। বিভিন্ন জায়গায় অস্থিতিশীল পরিবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের অভিযোগও করেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরানের সাথে এ সম্পর্কের উন্নতি বলতে কেবল বন্দিদের কারাগার থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এর সাথে আমাদের অন্য কোনো ধরনের অবস্থান পরিবর্তন হবে না। এটা কেবল আমাদের জনগণকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের সব প্রক্রিয়া বন্ধ বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বন্দি বিনিময়ের এ চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ৬০০ কোটি ডলার ফেরত চায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এর মাধ্যমে বন্দিরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন।
মন্তব্য করুন