কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৮ এএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা!

তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সেনারা। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা!

বিদ্রোহীদের তোপের মুখে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একের পর এক শহর দখল করছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ক্ষমতা দখলের পর বর্তমানে সবেচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা প্রশাসন। এবার তারা সরকার গঠনের কথা জানান দিয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ) জানিয়েছে, তারা আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠন করবে। মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে এ সরকার গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পিএসএলএফ মূলত তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। এটি ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয়েছিল।

দেশটিতে জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা জোটবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের এ জোটে টিএনএলএ ছাড়াও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং আরাকান আর্মি সক্রিয় রয়েছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবরে উত্তর শান রাজ্য থেকে তাদের তৎপরতা শুরু করে এ জোট। তাদের হাতে জান্তার ২০টি শহর ও চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের পতন হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিএনএলএ নামসান, মানটং, নামকেম, কুতকাই, নামতু, মংল ও মঙ্গজিউয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা স্থানীয়দের বিভিন্ন সশস্ত্র দলে ভেড়াতে জোর করে বাধ্য করা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

গোষ্ঠীটির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল টার আইক বং জানুয়ারিতে তায়াং জাতীয় বিপ্লব দিবসের বক্তৃতায় তায়াং বাস্তুচ্যুতদের স্বাধীন হওয়া এলাকা পুনর্গঠনে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীন হওয়া এলাকাগুলো পুনর্গঠনে আমরা জনগণকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।

জানুয়ারি থেকেই এ গোষ্ঠীটি কুতকাই ও নামতুতে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ শুরু করেছে। টিএনএলএ নিরাপত্তা, আইনের শাসন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসন হঠানো আমাদের স্বপ্ন। আমরা টিএনএলএর উপর আস্থা রাখি। তারা স্বাধীন এলাকাগুলো পুনর্গঠন করতে পারবে বলেও আমরা আশা করছি।

চলতি মাসে পিএসএলএফের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন। গোষ্ঠীটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জনগণকে সারমিক শাসন ভাঙতে এবং ফেডারেল ও গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এতে সব জাতিগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করতে পারে। তায়াং সংঘাত ও সামরিক শাসনে ভুগছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেরোবির শিক্ষক গ্রেপ্তার, ওসি বদলি 

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা : কে কী বলছেন

চোট থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

সাবেক সিইসি ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

লরির পেছনে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কা, চালক-সহকারী নিহত

সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

কন্যাসন্তানের মা হলেন অভিনেত্রী স্বাগতা

র‍্যাগিং দণ্ডনীয় অপরাধ, যা গ্রহণযোগ্য নয় : জবি প্রক্টর 

১০

শেষ ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী রিয়াল

১১

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

১২

ইরানে আঘাত করে বেইমানি করলেন ট্রাম্প!

১৩

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে মুগ্ধ পেপ গার্দিওলা

১৪

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা জাপানের

১৫

ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদল নেতা, ‘মুজিবীয়’ শুভেচ্ছা জানানোর পর যা ঘটল

১৬

বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে এক রাতে ২ খুন

১৭

প্রেস ক্লাবে আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

১৮

গাড়ির সাইড মিরোর ভাঙার পর বুঝলাম, পা ভেঙে গেছে: নিদ্রা নেহা

১৯

অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া নবজাতকটি আর নেই

২০
X