রাশিয়ার মস্কোয় বিমান দুর্ঘটনায় রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুতে ক্রেমলিনের দিকে আঙুল তুলছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। এমনকি এ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর দোষ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে পশ্চিমাদের অভিযোগ সত্ত্বেও পুতিনের হয়ে সাফাই গেয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
পুতিন ও প্রিগোজিন, দুজনেরই ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো। গত জুনে তারই মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, আমি পুতিনকে চিনি। তিনি হিসাব-নিকাশ করেই কাজ-কর্ম করেন। তিনি খুব শান্ত ও ধীর। আমি ভাবতেই পারি না পুতিন এটা করেছেন; এ ঘটনায় পুতিন দায়ী। এ ধরনের কাজ খুবই অপেশাদার।
এরে আগে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমাদের সব ধরনের জল্পনা উড়িয়ে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ক্রেমলিনের নির্দেশে প্রিগোজিনকে হত্যার দাবি ডাহা মিথ্যা।
শুক্রবার পেসকভ বলেন, এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে। পশ্চিম থেকে এসব জল্পনা একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে আসছে। এসব ডাহা মিথ্যা। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে অনেক তথ্য-প্রমাণ নেই। তদন্তের মাধ্যমে এসব বিষয়ে স্পষ্ট করা দরকার।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন।
এ বিদ্রোহের দুই মাস পর গত বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মস্কোর টিভের অঞ্চলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিন ও দিমিত্রি উটকিনসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।
জল্পনা রয়েছে, বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বুধবার মস্কোর কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ক্রেমলিনের নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মন্তব্য করুন