সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নবমবারের মতো পিতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন। তার স্ত্রী ক্যারি জনসন সম্প্রতি জন্ম দিয়েছেন একটি কন্যাসন্তান। এই নবজাতিকার নাম রাখা হয়েছে পপি এলিজা জোসেফিন জনসন।
২১ মে ২০২৫, লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতালে পপির জন্ম হয়। আগের দুই স্ত্রীর সন্তানসহ এটি বরিস জনসনের নবম সন্তান, জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর।
শনিবার (২৪ মে) ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে সুখবরটি জানান ক্যারি জনসন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না তুমি কত সুন্দর আর ছোট্ট। নিজেকে খুবই ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে আছি। জন্মের পর থেকে একটুও ঘুমোতে পারিনি, কারণ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে বারবার।
সন্তান জন্মের সময় সহায়তাকারী হাসপাতালের মাতৃত্বসেবা দল, বিশেষ করে আসমা ও প্যাট্রিক নামের দুই স্বাস্থ্যকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বরিস ও ক্যারির এটি চতুর্থ সন্তান। এর আগে তাদের সংসারে আরও তিনটি সন্তান জন্ম নেয়- উইলফ্রেড লরির নিকোলাস জনসন, জন্ম ২৯ এপ্রিল ২০২০; রোমি আইরিস শার্লট জনসন, জন্ম ৯ ডিসেম্বর ২০২১ এবং ফ্রাঙ্ক আলফ্রেড ওডিসিয়াস জনসন, জন্ম ৫ জুলাই ২০২৩।
প্রতিটি সন্তান জন্মের পরই ক্যারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা জানান দেন, যার ফলে জনসন দম্পতির ব্যক্তিজীবন সবসময় আলোচনায় থেকেছে।
প্রসঙ্গত, বরিস ও ক্যারির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বরাবরই কৌতূহল ছিল। তারা ২০১৯ সালের শেষদিকে বাগদান করেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথেড্রালে একটি ঘনিষ্ঠ অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন। সেই সময় ক্যারি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়।
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বরিস জনসনের সন্তান সংখ্যা মোট ৯ জন। যদিও জনসন কখনও প্রকাশ্যে এই সংখ্যা নিশ্চিত করেননি। প্রাক্তন স্ত্রী মারিনা হুইলারের সঙ্গে বরিসের চার সন্তান রয়েছে— লারা লেটিস (২৭), মিলো আর্থার (২৫), ক্যাসিয়া পিচেস (২৩) এবং থিওডর অ্যাপোলো (২১)।
এছাড়া, ২০০৯ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন শিল্প পরামর্শক হেলেন ম্যাকইন্টায়ারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বরিস। সেই সম্পর্ক থেকে জন্ম হয় আরেক কন্যাসন্তান স্টেফানি ম্যাকইন্টায়ারের।
২০১৩ সালে ব্রিটিশ কোর্ট এই সম্পর্কের সন্তানের বিষয়টি জনস্বার্থে প্রকাশের অনুমতি দেয়। তখন বিচারপতিরা বলেন, এই ঘটনার মূল তথ্য হলো, জনসনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে একটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। এটি জনস্বার্থে প্রকাশ করা উচিত, কারণ জনসনের মতো উচ্চপদস্থ রাজনীতিকের ব্যক্তিগত আচরণ ও নৈতিকতা যাচাই করাও গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বরিস জনসন রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বরাবরই গণমাধ্যমের আলোচনায় থেকেছেন। নবম সন্তানের জন্মের মধ্য দিয়ে তিনি আবারও উঠে এলেন আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনামে।
মন্তব্য করুন