নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে তাদের পাপের ফল ভোগ করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, সময়টা ২০১৩ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের মসজিদের বারান্দায় এভাবেই ঘুমাতাম। এর কারণ হলো গণরুমে ছারপোকার কামড়ে ঘুমাতে পারতাম না। কমেন্টে গণরুমের ছবি দিয়েছি। আমার এক বন্ধু ছবিগুলো হঠাৎ করে ইনবক্সে দিল.... সে সময় এই ছবি পোস্ট করারও পরিবেশ ছিল না। কি ভয়ংকর ছিল দিনগুলো...!
রাশেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই জাহান্নামের হাত থেকে গণঅভ্যুত্থানের কারণে রক্ষা পেয়েছে। এই দেশে আর ছাত্রলীগ ফিরে না আসুক। ওদের পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ট্যাগিং এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানো নিয়ে মুখ খুলেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক কায়েম জানান, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে অনলাইন প্রোপাগান্ডা। পরিকল্পিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অব্যাহত ট্যাগিং, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, চরিত্রহনন ও অমর্যাদাকর প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, যা কেবল নৈতিকভাবে ঘৃণিতই নয়, বরং রাজনীতির সুস্থ ধারা ও শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্ববোধেরও পরিপন্থি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই-পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক সৌন্দর্যের অংশ এবং এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। তবে সে প্রতিযোগিতা হতে হবে ভ্রাতৃত্ব, যুক্তি, মূল্যবোধ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে- ঘৃণা, মিথ্যাচার ও চরিত্রহননের মাধ্যমে নয়। তাই এ ধরনের হীন, নোংরা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সারা দেশের বিবেকবান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন, আমরা সবাই অনলাইন বুলিং, হেয়প্রতিপন্নকরণ ও কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে মানবিকতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যকে প্রাধান্য দিই।’
মন্তব্য করুন