যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ভয়ংকর গুচ্ছবোমা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এসব গুচ্ছবোমা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করবে না ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শুধু ইউক্রেনের বেদখল হওয়া ভূখণ্ডমুক্ত করতেই এসব বোমা ব্যবহার করবে তার বাহিনী। এ সময় কিয়েভকে গুচ্ছবোমা দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান রেজনিকভ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ আরও জানান, এসব বোমা ইউক্রেনের সেনাদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ার এসব গুচ্ছবোমা কবে, কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা কঠোরভাবে লিপিবদ্ধ করবে ইউক্রেন। এমনকি এই তথ্য সামরিক অংশীদারদের সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে তার দেশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা শুধু আমাদের ভূখণ্ড স্বাধীন ও আমাদের জনগণকে বাঁচাতে চাই।’
এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দেওয়ার কথা জানান। এ সময় অজুহাত হিসেবে কিয়েভের গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসছে বলে দাবি করেন তিনি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, গুচ্ছবোমার ক্ষতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন আছে। তবে রুশ সেনারা ইউক্রেনের যত বেশি ভূমি দখল করবে তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউক্রেনের নাগরিকরা। ফলে গোলাবারুদ সংকেট থাকা ইউক্রেনকে সহায়তা করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
এদিকে ইউক্রেনকে ভয়ংকর গুচ্ছবোমা দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমেরিকার ওপর নাখোশ রাশিয়াসহ মার্কিন মিত্ররাও। সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে নিজেদের হিংস্র মূর্তি আবার সামনে নিয়ে এলো যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে বিশ্বের ১২৩টি দেশে নিষিদ্ধ এই বোমা। নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হওয়ায় এই ধরনের বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া এসব বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায়ও অনেক বছর থেকে যায়। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও ঝুঁকিতে থাকে সাধারণ নাগরিকরা।
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ধরনের বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনে ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।
মন্তব্য করুন