কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুতিন ও এরদোয়ানের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন

পুতিন এবং এরদোয়ান ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই পরিচিত। ছবি : সংগৃহীত
পুতিন এবং এরদোয়ান ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই পরিচিত। ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রকাশ্যে ইউক্রেনকে সমর্থন করছেন এবং অস্ত্র দিচ্ছেন। এমনকি প্রকাশ্যে মস্কোকে অপমান করেছেন। তবুও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে এসব মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ, পুতিনের লক্ষ্য পূরণে তুরস্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

চলতি সপ্তাহে এরদোয়ান তার দেশে থাকা ইউক্রেনের আজভ রেজিমেন্টের পাঁচজন কমান্ডারকে ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এসব সেনাকে রাশিয়া বন্দি করেছিল এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের তুরস্কেই থাকতে হবে। আজভ রেজিমেন্টের এই পাঁচ কমান্ডার গত বছরের মে মাসে মারিউপোলের যুদ্ধে রাশিয়ার হাতে বন্দি হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুতিনের বন্ধু ভিক্টর মেদভেদচুকের বিনিময়ে মুক্তি পাওয়া শত শত আজভ যোদ্ধার মধ্যে ছিলেন তারা। এসব সেনাকে ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতিকে রাশিয়া পেছন থেকে ছুরিকাঘাত হিসেবে দেখছে।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তুরস্ক থেকে এসব আজভ রেজিমেন্ট কমান্ডারকে ইউক্রেনে প্রত্যাবর্তন করতে দেওয়া বিদ্যমান চুক্তির শর্তাবলির সরাসরি লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই মুক্তি তুরস্কের ওপর তার ন্যাটো মিত্রদের দেওয়া চাপের ফল।

পেসকভের এই মন্তব্যে যেভাবে এরদোয়ানের কর্মকাণ্ডের জন্য দোষারোপ করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে তাতে মস্কো-আঙ্কারার মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করার পরিকল্পনা কোন দিকে যায় তা নিশ্চিত নয়। তবে এটি রাশিয়ার কঠোর নীতিতে চলার ইঙ্গিত দেয়। মস্কো তুরস্ককে তার একটি আঞ্চলিক গ্যাস হাব হিসেবে পেতে চায়। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তুরস্ক পশ্চিমাদের দ্বারা বহিষ্কৃত রাশিয়ান অলিগার্চদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

এসব কারণেই রাশিয়ার ফেডারেশন কাউন্সিলের ‘বন্ধুত্বহীন দেশের’ তালিকায় তুরস্ককে যুক্ত করার হুমকি পুতিন অনুমোদন দেবেন এমন সম্ভাবনা কম।

তা সত্ত্বেও, আজভ রেজিমেন্টের পাঁচজন কমান্ডারের ইউক্রেনে প্রত্যাবর্তন রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের জন্য আরেকটি বড় অপমান। কারণ, তারা দেশে ফিরে আবারও রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।

রাশিয়ায় ওয়াগনারের বিদ্রোহের পরপরই এরদোয়ানের এই পদক্ষেপ, এটি পুতিনের রাজত্বের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়ান কট্টরপন্থিরা পুতিনের প্রিয় বন্ধু এরদোয়ানের সাথে পুতিনের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন তুলতে পারে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেনও।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘চোখের সামনেই আমার ছেলেটার মৃত্যু হয়েছে’

তুরাগের চার ওয়ার্ড বিচ্ছিন্নের ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না : মোস্তফা জামান

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আমেরিকান প্রবাসী মিঠুর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

যশোর-৬ আসন অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে গণমিছিল

কুকুরকে খাবার খাওয়ানোর কারণে নারীকে ৩৮ সেকেন্ডে ৮ বার থাপ্পড়!

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

চাঁদাবাজি করলে বহিষ্কারের পাশাপাশি স্থান হবে কারাগার : নীরব

রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে যে রেকর্ড গড়লেন রোনালদো

আবারও ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

১০

উপদেষ্টা মাহফুজ বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানালেন বাবা আজিজুর

১১

‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশু ছোঁয়াকে আছড়ে হত্যা করে ফুপাতো ভাই’

১২

সড়ক পরিহার করে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

১৩

আমরা সবাই বাংলাদেশি, এর বাইরে কোনো পরিচয় নেই : জিলানী

১৪

জামদানি পল্লী পরিদর্শনে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

১৫

উৎসবমুখর পরিবেশে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

১৬

বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে নার্স নেবে কুয়েত

১৭

সংবিধানের ওপরে জুলাই সনদ প্রাধান্য পেতে পারে না : গণফোরাম

১৮

ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপনের প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের

১৯

হাজার হাজার মার্কিনি নিচ্ছেন মেক্সিকোর নাগরিকত্ব

২০
X