ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের পর আড়ালে চলে যান রাশিয়ার ‘কুখ্যাত’ কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিন। ওয়াগনারের বিদ্রোহে তিনি মদদ দিয়েছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।
তবে রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলোভ জানান, সুরোভিকিন এখন বিশ্রামে আছেন। আপাতত তিনি কোনো দায়িত্বে নেই।
ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’সর্বাধিনায়ক হিসেবে সুরোভিকিনকে ২০২২ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মাত্র তিন মাস পরই তাকে এ পদ সরিয়ে দেন তিনি। এরপর থেকে তিনি রাশিয়ার এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের সময় নৃশংসতার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন সুরোভিকিন। তিনি ‘জেনারেল আর্মাগেডন’ নামে পরিচিত লাভ করেন।
গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ঘোষণার পর পর দেশটির রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে ওয়াগনার বাহিনী। তবে ওইদিন রাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
গতকাল বুধবার ব্রিটিশ গোয়েন্দারা দাবি করেন, ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর সুরোভিকিনকে মূলত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা বৈঠকে সুরোভিকিনের ডেপুটি ভিক্টর আফজালোভের উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গত জুনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াগনারের বিদ্রোহের ব্যাপারে সুরোভিকিন আগেই জানতেন। এরপরও তিনি কাউকে কিছু জানাননি।
সূত্র : বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
মন্তব্য করুন