মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দিয়ে সাপের লেজে পা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আসছে রাশিয়া। এমন হুমকির মধ্যে বাইডেনের এ অনুমতি কেবল যুদ্ধের পরিধি বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হলোও ঠিক তাই। এবার যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্বের ঘুম হারাম করে দেওয়ার মতো ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ফলে বলাই যাচ্ছে আগামীতে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা বরং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর শঙ্কা আরও বেড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে এমন দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করবে মস্কো। ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করার সময় এমন হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের সরবরাহ করা সমরাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেয়। পুতিন সতর্ক করে জানান, পশ্চিমাদের এমন পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী খুবই মরাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, যদি কেউ মনে করে আমাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ ও আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা সম্ভব, তাহলে তাদের স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোতে হামলা করার মতো দেশগুলোতে রুশ অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার কেন থাকবে না। এমনকি পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলোতে সরবরাহ করা অস্ত্র আরও ধ্বংসাত্মক হতে পারে। আমি এটা নিয়ে ভাবব।
তবে এ সময় কোন দেশকে রাশিয়া অস্ত্র সরবরাহ করবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি জার্মান দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতির জন্য জার্মানির কড়া সমালোচনা করেন পুতিন। এ ধরনের পদক্ষেপ রুশ-জার্মান সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলেও সতর্ক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি খারকিভে রুশ বাহিনীর কাছে মারাত্মকভাবে পরাজিত হয় জেলেনস্কির সেনারা। এরপরই আরও ভূখণ্ড হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে ইউক্রেন।
এমন পরিস্থিতিতে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা থামাতে খারকিভের সীমান্তবর্তী রুশ সামরিক স্থাপনায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন বাইডেন। একই ধরনের অনুমতি দেয় মার্কিন মিত্র যুক্তরাজ্য। এমনকি ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গও একই ধরনের অনুমতি দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলার অভিযোগ তুলেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। যুদ্ধে ইরানের তৈরি সামরিক ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সব পক্ষ।
মন্তব্য করুন