মা-বাবা দুজনেই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার দিনও তারা কাজে ছিলেন। তাদের ছয় বছরের শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার প্রতি তার ঝোঁক মা-বাবার মনে আশার সঞ্চার করত। কিন্তু একটি ঘটনা মা-বাবার সব স্বপ্ন উলটপালট করে দিল।
শিশুটি কিছু একটা ভেবে বই নিয়ে বাড়ির উঠানে পড়তে যায়। সেখানে তাকে আক্রমণ করে চিতাবাঘ। খোলা বই পড়ে থাকে উঠানে। চিতাবাঘ শিশুটিকে কামড়ে টেনেহিঁচড়ে বনের দিকে নিয়ে যায়।
পরে স্বজনরা শিশুটিকে না পেয়ে মা-বাবাকে খবর দেন। প্রতিবেশীদের নিয়ে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পান তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়ের’ শনিবারের (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পুনের জুন্নারের কুমশেত গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম সিদ্ধার্থ প্রবীণ কেড়কর। গ্রামের ঠাকর বস্তিতে সিদ্ধার্থদের বাড়ি। তাদের বস্তিতে মাত্র ১০-১৫টি বাড়ি রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির বাইরে পড়াশোনা করার সময় চিতাবাঘ তার ওপর হামলা করে এবং তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, চলতি বছরে এই নিয়ে পুনে জেলায় চিতাবাঘের হামলায় দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটল। গত এপ্রিল মাসে শিরুরের ইনামগাঁওয়ে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা তার বাড়ির বাইরে ঘুমাচ্ছিলেন। তাকেও তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘ। এ ছাড়া গত বছর পুনে জেলায় চিতাবাঘের হামলায় ৯ জনের মৃত্যু এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন