

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের তিন মাস পর কাঠ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান সরকার আসাদের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কাপাসিয়া-রাজেন্দ্রপুর সড়কের উপজেলার পারুলী নদীর পুরাতন ব্রিজের নিচের পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান সরকার আসাদ শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের মিটালু গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজাবাড়ী বাজারে কাঠের ব্যবসা করতেন।
নিহতের ছেলে জনি সরকার জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাবা নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার বাবার সন্ধান না পেয়ে একদিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে তার বাবাকে কারা, কেন এবং কি কারণে হত্যা করে মরদেহ ব্রিজের নিচের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে ফেলে রেখেছে জানি না। বাবার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল বলে আমাদের জানা নেই।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় সাহা বলেন, ভোর রাতে রাজাবাড়ী বাজার এলাকায় স্থানীয় এক বাড়িতে চোর প্রবেশ করে। এ সময় লোকজন টের পেয়ে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে চোরকে ধাওয়া দিলে রাজাবাড়ী বাজারের পারুলী নদীর পুরাতন ব্রিজের নিচ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। হঠাৎ চোর চোখের আড়ালে চলে গেলে তারা ধারণা করেন, ব্রিজের নিচের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে চোর লুকিয়ে থাকতে পারে। পরে চোর খুঁজতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান সরকার আসাদের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে কাঠ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান সরকার আসাদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে তার ছেলে জনি সরকার (২৫) এবং সানজিদা আক্তার (২১) মরদেহের গায়ে থাকা গেঞ্জি এবং পরনের লুঙ্গি দেখে তাদের বাবার মরদেহ বলে শনাক্ত করে।
সঞ্জয় সাহা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা আনুমানিক ২০-২৫ দিন আগে ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাত কোনো স্থানে হত্যা করে মরদেহ পরিত্যক্ত টিনের ঘরে ফেলে রাখে। হত্যার কারণ এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন