প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০টি এবং কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে সরকার গঠনের জন্য এককভাবে কোনো দল সংখ্যগরিষ্ঠতা পায়নি। ভারতে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন। এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। তবে ২৪০ পাওয়ার পরও বিজেপির আরও ৩২টি আসনের প্রয়োজন ছিল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯২ আসন পেয়েছে। বিপরীতে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৪ আসন।
দেশটির এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন ভারতের জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। প্রথমবারেই তিনি কংগ্রসের রাজ্য সভাপতি ছয়বারের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে দিয়েছেন। তাও ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে আরও যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান মাসুদ। তিনি উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর আসনে ৬৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পান। সমাজবাদী পার্টির তরুণ নেতা ২৯ বছর বয়সী ইকরা চৌধুরী উত্তর প্রদেশের কাইরানা আসনে বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমারকে ৬৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান। একই রাজ্যের আরেক আসন গাজিপুরে জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির মুসলিম প্রার্থী আফজাল আনসারি।
এআইএমআইএম সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদে নিজের আসনটি ধরে রেখেছেন। তিনি বিজেপির মাধবী লতা কম্পেলাকে হারিয়েছেন। লাদাখে স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী মোহাম্মদ হানাফি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা আসনে আরেক স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী আবদুল রশিদ শেখ ৪ লাখ ৭০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মহিবুল্লাহ রামপুর আসনে ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। সাম্ভাল আসনে জেতেন জিয়াউর রেহমান। এছাড়া, ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী মিয়া আলতাফ আহমদ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে হারিয়ে দেন। শ্রীনগরে এনসি প্রার্থী আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহদি জয়ী হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৫ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
মন্তব্য করুন