বিয়েবাড়িতে খাসির মাংস, লাউ-চিংড়ি, মসুর ডাল আর আলুর তরকারিসহ নানা পদ রান্না করেছিলেন বাবুর্চি। এদিকে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল। ঠিক এ সময় বাধে বিপত্তি। একদল অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি এসে হাজির বিয়েবাড়িতে। তাদের দেখে অনুষ্ঠান থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সরে যেতে বাধ্য করলেন আয়োজকরা। এ ছাড়া অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেলে চেপে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন বর-কনেও।
১৬ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
ওই দিন গ্রামের যুবক তন্ময় সিংহের সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য ছিল একই গ্রামের তরুণী মমপি সিংহের।
বর তন্ময় সিংহ বলেন, বিয়ের দিন অতিথিরা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন সময় হাতির গর্জন শুনতে পাই। রান্নার ঘ্রাণ পেয়ে হাতির পাল সেখানে ছুটে আসে। তাই অতিদ্রুত খাবারের টেবিল ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বলি অতিথিদের। ভাতিজার সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আমিও ঘটনাস্থল থেকে সরে যাই।
তন্ময়ের বাবা তপন সিংহ জানান, ৫০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। ৬৫ জন কনেযাত্রীসহ মোট ২৭০ জন খেয়েছেন। বেশিরভাগই হাতির ভয়ে আসতে পারেননি। অনেকে খেতে বসে হাতির ডাক শুনে উঠে গিয়েছেন। প্রচুর খাবার নষ্ট হয়েছে।
বরের মা ববিতাও বলেন, কনেযাত্রীসহ পরিবারের লোকজন খাচ্ছিল। হঠাৎই পাশে হাতি চলে আসে।
জানা গেছে, রান্নার ঘ্রাণ পেয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে পড়ছে হাতি। তাই বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসী। তা ছাড়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে দলবেঁধে হাতি ঘুরে বেড়ানোয় ভয়ে কোনো অতিথি বিয়েতে যেতে চাচ্ছেন না।
ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বুনো হাতি দল বেঁধে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে জঙ্গলভাঙ্গা, কাজলা, কুসুমগ্রামও কলবানি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন