কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১ এএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিন দেশের পরিকল্পনা

গাজার একটি এলাকায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি : সংগৃহীত
গাজার একটি এলাকায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি : সংগৃহীত

গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের হাতে থাকলেও আন্তর্জাতিকভাবে মাহমুদ আব্বাসই ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃত। ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ও তার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হাতেও গাজাকে ছেড়ে দিতে চায় না ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। আর তাই গাজা থেকে তাদের নির্মূলের পর উপত্যকার শাসনভার অন্য কারও হাতে তুলে দিতে জাতীয় কমিটি গঠনে কাজ করছে তিন দেশ।

ফিলিস্তিনের রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই জাতীয় কমিটি প্রণয়নে করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সূত্রের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির পর, এই কমিটি অধিকৃত উপত্যকার শাসনভার কাঁধে তুলে নেবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র বলছে, এই কমিটিতে ফিলিস্তিনের সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করার কথা। তবে বাস্তবে কমিটির সদস্যরা হবেন ফাত্তাহর সাবেক নির্বাসিত নেতা ও ফিলিস্তিনের স্ট্রংম্যান মোহাম্মদ দাহলানের বিশ্বস্ত লোকজন।

পরিকল্পনা অনেকটা এমন যে দাহলানকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে বসানো হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা মেনে নিতে আব্বাসকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো। এসব দেশের তালিকায় মিশর ও জর্ডানের নামও রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা থেকে এখনও নিজেকে সরিয়ে রেখেছে কাতার। গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

ধনাঢ্য ব্যবসায়ী দাহলান নির্বাসিত অবস্থায় বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাস করছেন। ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ী হলেও দাহলান এর আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে দুর্নীতি ও অভ্যুত্থানের অভিযোগ উঠলে আব্বাসের ঘনিষ্ঠ নেতাদের চাপে ২০১১ সালে ফিলিস্তিন ছাড়তে বাধ্য হন দাহলান। যদিও দাহলান তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জাতীয় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন দাহলান ও আমিরাতের কর্মকর্তা। ওই ব্যক্তিদের অধিকাংশেরই মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আর দাহলান আবুধাবি থেকে কায়রো যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছেন। জানা গেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর কমিটির প্রথম কাজ হবে গাজায় আরব ও আন্তর্জাতিক সেনাদের নিয়ে গঠিত বাহিনীর প্রবেশ নিশ্চিত করা। আর এমন প্রস্তাব দিয়েছেন আমিরাতের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ

ভালুকায় নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

পুলিশের ৬ ডিআইজিকে বদলি

২২ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

লারমার সমাজ দর্শনকে গুরুত্ব দিতে হবে

জবিতে ম্যুরাল স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

রাজধানীতে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ওমরাহ পালনে সৌদি গেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে : রিজভী

হাইকোর্টে ২৩ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ

১০

পডিয়াট্রি অ্যাসোসিয়েশন / ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিশ্চিতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ

১১

দেশের মানুষ ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় : ড. ফরহাদ

১২

চবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের শপথ গ্রহণ

১৩

টেকনাফে সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদাবাজি, যুবকের কারাদণ্ড

১৪

বিদায়ের পথে শরৎ, দিয়ে যাচ্ছে সুখবর

১৫

কারাগারে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে সাবেক এমপি লতিফ

১৬

বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নতুন নেতৃত্বে জহরুল-রিশাদ

১৭

দেশবাসীকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা খোকন চন্দ্র দাসের

১৮

দেশের প্রথম লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক এনেছে গ্রামীণফোন

১৯

জনগণ তার বহুল প্রত্যাশিত ভোটের অপেক্ষা করছে : আমিনুল হক 

২০
X