কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে কারণে গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। বাংলা এই প্রবাদের মতোই সর্বনাশী এক খেলায় মেতেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এই খেলার বলি হচ্ছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।

এখন আরও এক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতানিয়াহু। যেখানে সারা দুনিয়া শান্তি স্থাপনের জন্য চাপ দিচ্ছে, সেখানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ চাওয়ার পেছনে আছে, কৌশলী এক কারণ। এবার সেই কারণ ফাঁস হয়েছে।

জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে লেবানন ও ইরানে দুটি মিশন চালায় ইসরায়েল। ওই দুই হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বিতীয় ক্ষমতা ব্যক্তি ফুয়াদ শুকর বৈরুতে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এতে লেবানন ও ইরান ফুঁসে উঠলেও আনন্দের হাসি হেসেছেন নেতানিয়াহু। কেননা এতে তার রাজনৈতিক জয় নিশ্চিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উইলসন সেন্টারের মিডল ইস্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মেরিসা খুরসা বলেন, ইসরায়েল যতবারই কোনো আততায়ী হত্যাকাণ্ডে সফল হয়েছে, ততবারই নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে। কেননা, যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, ততদিনই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন নেতানিয়াহু। এতে তার সরকার টিকে যাওয়ার পাশাপাশি চরমপন্থিদেরও জন্য তা পোয়াবারো হবে।

শুরু থেকেই নেতানিয়াহু চাইছেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি যেন না হয়। বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় যুদ্ধ যতদিন চালাতে পারবেন, ততদিন আগাম নির্বাচন হওয়াও ঠেকাতে পারবেন নেতানিয়াহু। আবার দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের পর যুদ্ধে জয়ী হলে দেশের ভেতর নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তাও বেড়ে যাবে। আর ঠিক সেটাই ঘটেছে নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে। ওই দুই হত্যাকাণ্ডের পর নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে।

ঠিক এই সময়েই কেন এই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিটা পারসি বলেন, হানিয়াকে হত্যার জন্য তেহরান এবং মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথের সময় বেছে নেওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু নেতানিয়াহু অপমানজনক উপায় এবং সময় বেছে নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে, যাতে করে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

নেতানিয়াহু এতটাই কৌশলে চাল দিয়েছেন যে, এই দুই হত্যাকাণ্ডের কারণে পেজেশকিয়ানের বিজয়ের পর ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কূটনীতির যে দরজা খুলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল, তা বন্ধ হয়ে গেছে। কেননা পেজেশকিয়ান চেয়েছিলেন পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে নেতানিয়াহুকে চাপে ফেলে গাজা যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল পেজেশকিয়ানের। কিন্তু তাকে চেকমেট দিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১ হাজার টাকার জন্য জীবন গেল শুভর

হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে যা জানাল ভারত

হোয়াইটওয়াশের পর নিজের ভবিষ্যৎ বোর্ডের হাতে ছেড়ে দিলেন গম্ভীর

ভূমিকম্প / ঢাবির ৬ হলে কারিগরি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন সম্পন্ন

গণসংযোগে জনস্রোত, আলিঙ্গনে সিক্ত নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

শিবির করায় ছাত্রত্ব বাতিল, একযুগ পর মাস্টার্সে পেলেন সিজিপিএ-৪

মানহানিকর বক্তব্য প্রচার নিয়ে আলী রীয়াজের বিবৃতি

১৪ দিন ধরে বন্ধ সোনাহাট বন্দর

ফেসবুকে নতুন সুবিধা, পরিচয় গোপন রেখেই আলোচনায় অংশ নেবেন যেভাবে

নিজ এলাকায় মিন্টুকে বরণ করতে উন্মুখ নেতাকর্মীরা

১০

দুই দিন ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না তিন এলাকায়

১১

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের নিচে নামল ভারত

১২

১৭ বছর পর প্রবীরের অশ্রুভেজা প্রত্যাবর্তন

১৩

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর রেলওয়ের চার কর্মকর্তাকে বদলি

১৪

গ্রুপ চ্যাট চালু করল চ্যাটজিপিটি, জানুন ব্যবহার

১৫

অপহরণের পর ৪০ হাজার টাকা দাবি, না পেয়ে কিশোরকে হত্যা

১৬

কায়কোবাদকে নিয়ে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদ

১৭

নতুন ইউএনও ১৬৬ উপজেলায়

১৮

খাজা এনায়েতপুর দরবার শরিফের পীরের ইন্তেকাল

১৯

বিপিএল নিলামে ২৫০ বিদেশি—প্রতি দলে খরচ ৯ কোটি

২০
X