কোরআন অবমাননা বন্ধে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতি সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। খবর আরব নিউজের।
সোমবার (৩১ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ আহ্বান জানান। সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন অবমাননার পুনরাবৃত্তির প্রেক্ষাপটে ওআইসির এক মিটিংয়ে এ আহ্বান জানানো হয়।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ওআইসির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটানো, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অসহিষ্ণুতা ও চরমপন্থা মোকাবিলা করা। ওআইসির পদক্ষেপের কারণে গত ১২ জুলাই কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকস্বাধীনতার অর্থ তার নৈতিক ভিত্তি থাকতে হবে। যার ফলে দুটি কালচারের মধ্যে বিরোধ বা সংঘর্ষ নয়, সহাবস্থান ও সম্প্রীতি নিশ্চিত হবে। তিনি সহনশীলতা ও মধ্যপন্থা ছড়িয়ে দিয়ে উগ্রপন্থা ও ধমীয় অনুভূতিতে আঘাতের চর্চা বন্ধে পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের অবস্থান উল্লেখ করে তিনি জানিয়ে বলেন, কোনোভাবেই এ ধরনের উসকানিমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
এ সময় ওআইসি সেক্রেটোরি জেনারেল হিসেইন ব্রাহিম তাহা সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধে এখনও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি দেশ দুটির প্রতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তির সুযোগ দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, সুইডেনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সালমান মোমিকা নামের এক ব্যক্তি দুবার কোরআন অবমাননা করে। তিনি প্রথমে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন স্টকহোমের সবচেয়ে বড় মসজিদের সামনে এবং ২০ জুলাই ইরাকি দূতাবাসের সামনে আরেকবার কোরআন অবমাননা করেন। এ সময় সুইডিশ পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেয়।
অন্যদিকে ডেনমার্কের ইসলামবিদ্বেষী দল দানস্কে প্যাট্রিওটার গত দুই সপ্তাহে তিনবার কোরআন অবমাননা করেছে। এসব দেশে কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো মুসলিম বিশ্ব।
মন্তব্য করুন