শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার সামনে কী অপেক্ষা করছে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গাজার সামনে এখন অনিশ্চয়তা ও কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রতিটি শহর, প্রতিটি পরিবার এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চরম সংগ্রাম করছে। যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপে কিছু বন্দি মুক্তি পেলেও গাজাবাসীদের জন্য ভবিষ্যৎ অনেকটাই অন্ধকার।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম ছয় সপ্তাহ গাজার বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় হতে পারে। ইসরায়েল সরকারের একটি অংশ যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে। তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—গাজাকে দখল করা এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া। বিশেষ করে, কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি মন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানকার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে পদত্যাগও করেছেন। ফলে এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তি নিয়ে আসবে কি না এ ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। অনেকে এ যুদ্ধবিরতিকে সাময়িক বিরতি হিসেবে দেখছেন।

এদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ২৩ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খাবার, পানি ও শীতের পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে ত্রাণ পৌঁছানো শুরু হলেও সেই ত্রাণ যথেষ্ট নয় এবং নিরাপদে গাজার অভ্যন্তরে তা পৌঁছানোও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

গাজাবাসীরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর কিছুটা স্বস্তি পেলেও তাদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তাদের সামনে যে ধ্বংসস্তূপ ও সংকটময় পরিস্থিতি, তা থেকে উতরে আসাও কঠিন। বিশেষ করে, গাজার শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে আসা মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ও ত্রাণের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি হামাসের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তবে তা সফল হওয়া নির্ভর করছে ইসরায়েলের সদিচ্ছার ওপর। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তথ্য: আল জাজিরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুগলের বিরুদ্ধে কেন মামলার হুমকি দিচ্ছে মেক্সিকো?

সোয়া এক ঘণ্টা পর ইসলামবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সীমান্তে কৃষকদের পেটানোর ঘটনায় বিএসএফকে বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

বৈষম্যবিরোধীদের এক থাকতে হবে : জামাল হায়দার

‘জুলাই চার্টারের’ ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন : প্রেস সচিব

ভাড়া বাসায় গৃহবধূর পোড়া লাশ, স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ

৭ মাস ধরে বেতন বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের

কেরুর চিনিকলে আবারও বোমা, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

বাংলাদেশে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্মত আদানি

খুঁড়িয়ে হাঁটা শিক্ষার্থীকে কাঁধে তুলে নিল বিএনসিসি সদস্য

১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকসহ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১১

তিমির পেট থেকে বেঁচে ফেরা সেই যুবকের সাক্ষাৎকার

১২

রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় রোববার

১৩

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন যারা

১৪

পন্টিংয়ের মন্তব্যে বিসিবির কড়া জবাব

১৫

৬ মাস পর কবরে শায়িত হলেন অভ্যুত্থানে নিহত হাসান

১৬

রাজধানীর ইসলামবাগে ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

১৭

‘জালিমকে তাড়াতে পেরেছি, জুলুমকে নয়’

১৮

থানায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

১৯

ধ্বংসস্তূপে এখনো স্ত্রী-স্বজনদের দেহ খুঁজছেন বৃদ্ধ

২০
X