কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার সামরিক গোয়েন্দা প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ভোররাতে সেহরির সময় গাজায় শরণার্থীদের আশ্রয়স্থলে ইসরায়েল সেনারা সতর্কতা ছাড়াই ভয়ানক বিমান হামলা চালায়। ছবি : সংগৃহীত
ভোররাতে সেহরির সময় গাজায় শরণার্থীদের আশ্রয়স্থলে ইসরায়েল সেনারা সতর্কতা ছাড়াই ভয়ানক বিমান হামলা চালায়। ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে কোনো সতর্কতা ছাড়াই ইসরায়েল আকস্মিক বিমান হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। ভয়ানক এই হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওসামা তাবাশ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

আইডিএফ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দক্ষিণ গাজায় আকাশপথে হামলা চালানো হয়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের ঘাঁটি, যেখানে বোমাবর্ষণ করা হয়। হামলায় হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ওসামা তাবাশ নিহত হন। আইডিএফ দাবি করেছে, তাবাশ হামাসের একাধিক সংগঠনের শীর্ষ পদে ছিলেন এবং বহু হামলার মূলহোতা ছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাবাশ হামাসের নজরদারি এবং নিশানা (টার্গেটিং) ইউনিটের প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি খান ইউনিস ব্রিগেডের ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন এবং গাজায় হামাসের যুদ্ধকৌশল ঠিক করতেন। বিশেষত, দক্ষিণ গাজায় তিনি সক্রিয় ছিলেন। আইডিএফ তাবাশের মৃত্যুকে একটি বড়সড় সাফল্য হিসেবে দেখছে।

ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, তাবাশ ২০০৫ সালে গাজার গাশ কাটিফ জংশনে আত্মঘাতী বোমা হামলার মূলহোতা ছিলেন। এ ছাড়াও তার ষড়যন্ত্রে বেশ কয়েকটি হামলা ঘটেছে। আইডিএফ আরও দাবি করেছে, তাবাশ তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কিছু ক্ষেত্রে হামাসকে আইডিএফের হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম করেছিল।

তাদের মতে, তাবাশের মৃত্যুর ফলে হামাসের বিরুদ্ধে পরবর্তী সংগ্রাম অনেক সহজ হবে। তবে, এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএলে রাজশাহীর কোচ হলেন হান্নান সরকার

শনিবার যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে 

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ১৬৮২

মাটি খননের সময় বেরিয়ে এলো মর্টার শেল

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনে প্রার্থী যারা

জামায়াত নেতাকে বহিষ্কার

ঢাবিতে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলন’ শুরু হচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর

বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মিন্টুর দ্বিতীয় দিনের গণসংযোগ শুরু

কারাগারে থুথু ফেলা নিয়ে দুই হাজতির মারামারি, অতঃপর...

১০

শায়খ মোখলেসুর রহমান কিয়ামপুরীর বুখারি পাঠদানের ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন

১১

এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ : জুয়েল

১২

ডেঙ্গুতে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৪১০

১৩

দম্পতিকে আশীর্বাদ করতে মঞ্চে উঠে বিপদে বিজেপি নেতা

১৪

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগ, যেভাবে আবেদন

১৫

যে নিয়মের কারণে বিপিএল খেলার অনুমতি পেলেন পিযুষ চাওলা

১৬

আপ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

১৭

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

১৮

ফের ঊর্ধ্বমুখী স্বর্ণের দাম, শুক্রবার কততে বিক্রি হচ্ছে

১৯

ইমরান খান জীবিত না মৃত, প্রশ্ন ছেলের

২০
X