ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বেশির ভাগই ইসরায়েলি সেনাদের দখলে। স্থলসেনা দিয়ে, অথবা মানুষজনকে জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এবং বোমা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী এই ভূখণ্ড দখল করছে।
এবার ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলিদের ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ও মেহের নিউজ।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের’ প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে, ‘এটি অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।’
মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানি সেনাবাহিনী ইসরায়েলিদের অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটিই তাদের জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সরকারের ভুল গণনার ফলে ইরানের বীর সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সেই অপরাধমূলক শাসনের প্রতি এক চূর্ণবিচূর্ণ, শিক্ষণীয় এবং দুঃখজনক প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া আর কোনও উপায় বাকি নেই।
সশস্ত্র বাহিনী বলছে, গত কয়েক দিন ধরে, ইরান সঠিকভাবে এবং সফলভাবে ইহুদি শত্রুর সামরিক, নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইরানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সায়াদ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেছে, ‘অপরাধী শাসনব্যবস্থাকে তোমাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে দিও না। ইরানের ধ্বংসাত্মক প্রতিশোধের পরিধি দখলকৃত অঞ্চলের সমস্ত কোণকে অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, সতর্কবার্তায় মনোযোগ না দেওয়া ইসরায়েলিদের জন্য আরও কঠিন পরিণতি ডেকে আনবে।
এ ছাড়া ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলিদের তাদের নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ এলাকা’ ত্যাগ করতে বলেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একই দিন নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ করেন এবং বলেন, ‘ইসরায়েলের জীবন অন্ধকার হয়ে পড়বে।’
এর কিছুক্ষণ পরেই ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে, ধাপে ধাপে ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানি কর্মকর্তারাও বলেছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন, ততক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন