ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত দ্রুত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। দুদেশের হামলা-পাল্টাহামলার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই জানা গেল, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ শক্তির মোকাবিলা করতে হবে।
যদিও কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার একটি ইসরায়েলি পরিকল্পনা বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার কথা বলছেন। তবে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে ইরানে হামলারও হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ওপর আঘাত হানে। এতে তেলআবিবে মার্কিন দূতাবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই ট্রাম্প নতুন করে ইরানকে হুমকি দেন।
এদিকে সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্কসহ মিত্রদের একটি ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইরান। তারা বলছে, এই সেনাবাহিনী গঠন করা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ইল্লেখ্য, ইসরায়েলের টানা হামলায় এখন পর্যন্ত ২২০ জনের বেশি ইরানি নিহত হয়েছে এবং অন্তত ১২০০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ইরান তাদের পাল্টা হামলা থেকে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। বরং তারা বলেছে, মিত্রদের নিয়ে একটি ‘ইসলামি বাহিনী’ গঠন করে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
আর ইরানের পাল্টা হামলায় সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২৪ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক আহত হয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত হেনেছে। অনেক ঘরবাড়ি ও আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।
মন্তব্য করুন