ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের বিমান বাহিনী ইরানের ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও সংরক্ষণ স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, ইসরায়েল দাবি করেছিল যে তেহরানে তাদের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল আলী শাদমানি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের এই হামলার প্রেক্ষিতে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সৈয়দ আবদোলরাহিম মুসাভি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ হামলার ঘোষণা দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির বরাতে জানা গেছে, মুসাভি বলেছেন, এখন পর্যন্ত পরিচালিত অপারেশনগুলো ছিল সতর্কতা। শাস্তিমূলক অপারেশন শিগগিরই কার্যকর করা হবে।
এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন মোড় নিতে পারে এই হুমকির পর। তবে এই হামলার সময় বা ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে ইরানের সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮টি ‘শত্রু বিমান’ শনাক্ত ও প্রতিহত করার দাবি করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল গুপ্তচর ড্রোন, যা সংবেদনশীল স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সামরিক বাহিনী আগেও দাবি করেছিল- তারা ইসরায়েলের একাধিক এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার জেট এবং অন্যান্য ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে, এই দাবিগুলোর সমর্থনে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ, যেমন ধ্বংসাবশেষের স্যাটেলাইট ছবি বা নিরপেক্ষ সূত্রের যাচাই, ইরান প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এই দাবিগুলোকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘প্রচারণামূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানে তাদের চলমান অভিযানে কোনো বিমান বা ক্রু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফ্রিন জানান, ইসরায়েল তেহরানের আকাশে সম্পূর্ণ বিমান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
মন্তব্য করুন