ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। পারমাণবিক বিকীরণ ছড়িয়ে পড়াসহ মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরানের সাধারণ মানুষের অবস্থা জানতে উদগ্রিব শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধসহ নানা বাধায় সেটি জানা সম্ভব হচ্ছিল না।
অনেকে ধারণা করেছিলেন মার্কিন হামলায় তেহরান আরও দ্রুত খালি হবে। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইরানে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগে কাজ করা গাজী আব্দুর রশীদ। তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘মার্কিন হামলার পর তেহরানে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। দেশের গান বাজছে আর লেবুর শরবত খাওয়ানো হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ডয়চে ভেলেকে গাজী আব্দুর রশীদ বলেছিলেন, আমরা অনেক ঝুঁকিতে আছি। ১৬ জুন তো একরকম প্রাণে বেঁচে গেছি। আইআরআইবি কম্পাউন্ড প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর। আইআরআইবি সদর দপ্তরের একদম পাশেই বিশ্ব সম্প্রচার কার্যক্রমের অফিস। ওই সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে। আমরা সেখানেই অফিস করি। আমরা অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। এখন আমরা সবাই বাসা থেকে অফিস করছি।
তখন তিনি জানান, তেহরানে এখন আতঙ্ক। হামলার তীব্রতা বাড়ায় বেশিরভাগ মানুষ তেহরান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। দোকানপাট বন্ধ। অফিস, স্কুল -কলেজও বন্ধ। জরুরি সেব প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, হামলার পর ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে দাবি করা হয়—শক্তিশালী সুরক্ষায় থাকা ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফোরদো হচ্ছে ইরানের সবচেয়ে গোপন ও সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। এটি কোম প্রদেশে একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং বহুদিন ধরেই ইসরাইলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু বলে বিবেচিত।
মন্তব্য করুন