ইরানে হামলায় একের পর এক সফলতা পাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদারদের ‘টার্গেটেড হামলায়’ নিহত হচ্ছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা। এবার ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা কোম শহরে হামলা করে কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন বিভাগের প্রধান কমান্ডারকে হত্যা করেছে। খবর আলজাজিরা ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
শনিবার (২১ জুন) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ইরানের কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিনি কর্পসের কমান্ডার সাইদ ইজাদি ইরানের কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় নিহত হয়েছেন। ইজাদির মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে কাটজ আরও বলেন, ৭ অক্টোবরের গণহত্যার সংঘটনে হামাসকে অর্থায়ন এবং অস্ত্র দিয়েছিলেন ইজাদি। তার নিহত হওয়া ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও বিমান বাহিনীর জন্য একটি বিশাল অর্জন। খুন ও অপহৃতদের জন্য ন্যায়বিচার। ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত তার সমস্ত শত্রুদের কাছে পৌঁছাবে।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) বিশেষায়িত ইউনিট কুদস ফোর্স। এ বাহিনী বিভিন্নভাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীদের সহায়তা করে আসছে।
দিনের শুরুতে তেহরানের ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) দক্ষিণে শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান বোমা হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। একই হামলায় ইজাদি নিহত হয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এই বছরের শুরুতে কাটজ একটি গোয়েন্দা নথি প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে দেখানো হয়েছিল, তৎকালীন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মুহাম্মদ দেইফ ২০২১ সালের জুন মাসে ইরানের আইআরজিসি কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কানিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ইসরায়েল আক্রমণের পরিকল্পনার সমর্থন চেয়েছিলেন। এ পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বাস্তবায়িত হয়েছিল।
কাটজ বলেন, নথিতে তারা (হামাস নেতারা) ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের কমান্ডারের কাছে ইসরায়েল রাষ্ট্র ধ্বংস করার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চান। ইজাদি অনুরোধ গ্রহণ করে তাদের উত্তর দিয়েছিলেন, ইরান কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ইরানি জনগণের দুর্দশা সত্ত্বেও হামাসকে অর্থ প্রদান অব্যাহত রাখবে। কারণ, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ইরানি শাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
এদিকে আইআরজিসির ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় কমান্ডার আমিন পুর জোদখি নিহত হয়েছেন। এ কমান্ডার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ইসরায়েলের দিকে শত শত ইউএভি ড্রোন উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া একই দিন ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাতেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
মন্তব্য করুন