ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনটা জানিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন।
মোহাম্মদ ইসলামি বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং শিল্পে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য ইরান ‘আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করেছে, যা ইরান জানত। এর মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলার আশঙ্কায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান হয়তো তাদের কিছু সরঞ্জাম এবং এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ফেলেছে।
সংঘাতের আগে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছিলেন, ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় ফোরদো ও ইসফাহানের সরঞ্জামগুলো স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মেহের নিউজের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক হামলার পর ইরান তার পারমাণবিক শিল্পের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে। এ ছাড়া এটি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও সেবার প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর দ্রুত পুনরুদ্ধারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২২ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন