স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ১২ দিনের ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬১০ জন ইরানি নিহত হয়েছেন। এ সময় ৪ হাজার ৭৪৬ জন আহত হয়েছেন। এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কারমানপোর বলেছেন, ৯৭১ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৮৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ১৩টি শিশু রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স দুই মাস; ৪৯ জন নারী রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন ছিলেন গর্ভবতী।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। সাতটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ছয়টি জরুরি প্রতিক্রিয়া ঘাঁটি, চারটি ক্লিনিক ও ৯টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির পর ইরানের উত্তরাঞ্চল গিলান প্রদেশে অজানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। তবে ইরানের অভিযোগ, এ ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিবিসির খবরে বলা হয়, গিলান প্রদেশের আস্তানেহ-ইয়ে আশরাফিয়া শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গভর্নরের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। ডেপুটি গভর্নর বলেন, হতাহতদের অন্তত ১৬ জনই নারী ও শিশু।
এদিকে ইরানি গণমাধ্যমের দাবি, নিহতদের মধ্যে পরমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদ্দিকি রয়েছেন। যদিও সরকারিভাবে এখনো এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আলাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একজন সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে টার্গেট করে সফল অভিযান চালিয়েছে। ওই হামলা একই কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে। এই অভিযানের কোডনাম ছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই হামলা পরিচালনা করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও মোসাদ। তাদের লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন।
মন্তব্য করুন