ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বানচাল করতে ইসরায়েলের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিল পরমাণুবিজ্ঞানীরা। ১২ দিনের যুদ্ধে প্রায় প্রতিদিন বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। সরাসরি বিমান, ড্রোন ও মিসাইল হামলা ছাড়াও ইরানের অভ্যন্তরে ছদ্মবেশে থাকা মোসাদ এজেন্টরাও হত্যায় অংশ নেন।
যুদ্ধবিরতি শেষে তাদের সফলতার তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে ইসরায়েল। দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানে আক্রমণের সময় অন্তত ১৪ জন ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী রয়েছেন। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। খবর আলজাজিরার।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থা ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকার সঙ্গে কথা বলে। রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এবং উপকরণ যা ইসরায়েলি ও মার্কিন বোমা হামলায় টিকে থাকতে পারে, তা থেকে অস্ত্র তৈরি করা প্রায় অসম্ভব করে দিয়েছে এই হত্যাকাণ্ড।
জারকা বলেন, পুরো দলটি মরে যাওয়ার ঘটনা মূলত এই কর্মসূচিকে বহু বহু বছর পিছিয়ে দেবে।
এপি জানিয়েছে, জারকা সোমবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর মঙ্গলবার ইরানি টেলিভিশন আরেকজন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবেরের মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে। তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাবের এর আগে ১৩ জুন হামলার শিকার হন। তখন তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে নিহত হলেও তিনি বেঁচে যান।
জারকার দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের অন্য বিজ্ঞানীরা নিহতদের স্থান পূরণ করতে পারবেন এবং এই হত্যাকাণ্ড শুধু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে। কখনো এটি শেষ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন