ইসরায়েল হত্যা করতে পারে, এই আশঙ্কায় অন্তত ১৫ শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে আত্মগোপনে পাঠিয়েছে ইরান। তাদের কয়েকজনের দেহরক্ষীও বদলে ফেলা হয়েছে। আর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন, তাদের জায়গায় পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই– এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ২০১০ সাল থেকে দেশটির বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে গুপ্তহত্যা করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে তথ্য পেতে দেশটিতে গুপ্তচরবৃত্তি করছে মোসাদের এজেন্টরা।
গত জুনে ইরানে হামলা চালিয়ে ১২ দিনে অন্তত ৩০ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপরই পরমাণু বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা জোরদার করে তেহরান। ইসরায়েলি গুপ্তচরদের ধরতে দেশজুড়ে অভিযান চালায় ইরান সরকার। মোসাদের এজেন্ট সন্দেহে ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত সপ্তাহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেপ্তার হন রুজবেহ ভাদি নামের এক পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের পারমাণু বিজ্ঞানীদের সংবেদনশীল তথ্য ইসরায়েলকে দিয়েছিলেন তিনি। আদালতে দোষী সাব্যস্তের পর বুধবার তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি টেলিগ্রাফকে ইরানের কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েল হত্যার পরিকল্পনা করেছে এমন তালিকাভুক্ত প্রায় ১০০ পরমাণু বিজ্ঞানীর মধ্যে অন্তত ১৫ জন আত্মগোপনে রয়েছেন। তেহরান ও উত্তর উপকূলের শহরগুলোতে পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ বাড়িতে সার্বক্ষণিক সুরক্ষার মধ্যে থাকছেন তারা। যাদের দেহরক্ষীদের ওপর আস্থা ছিল না, তাদের নতুন দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভোট চোর, গদি চোর’ স্লোগানে উত্তাল দিল্লি, অজ্ঞান ২ নেত্রী
তবে ইসরায়েল বলছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে অংশ নিলে সেই বিজ্ঞানীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। সেইসঙ্গে নিহত ও আত্মগোপনে থাকা ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্তরা বর্ধিত নিরাপত্তা সত্ত্বেও অতর্কিত হামলার ঝুঁকিতে আছেন।
মন্তব্য করুন