যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় এখনও যেসব জিম্মি আটক আছেন, তাদের মুক্তি ১৩ বা ১৪ অক্টোবরের মধ্যে হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তথ্য দেন।
ট্রাম্প বলেন, জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া খুব জটিল হলেও যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই তিনি মিশর সফরে যাবেন, যেখানে একটি আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, গাজাকে ধীরে ধীরে পুনর্গঠন করা হবে এবং এতে একাধিক আন্তর্জাতিক অংশীদার যুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলাটি ছিল ভয়াবহ। কিন্তু এরপর গাজায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যা একধরনের বড় প্রতিশোধ।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গাজা যুদ্ধের সাম্প্রতিক অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে সামরিক পদক্ষেপের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত হামলা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, ইরান এখন শান্তি চায় এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সঙ্গে শান্তির পথে কাজ করবে।
চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে নির্ধারিত হলুদ রেখা পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা থেকে সরে যাবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত প্রায় ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে নিহতদের দেহাবশেষ ধীরে ধীরে ফেরত দেওয়া হবে।
এর বিনিময়ে ইসরায়েল ২,০০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং বাকিরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক হয়েছিলেন। সূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন