ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের পর এবার প্রতিবেশী দেশের হামলার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটিতে এবার ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন সীমান্তে আবার হামলার মুখে পড়েছে তারা। এবার ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সেবা ফার্ম এলাকায় এ হামলা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর অপর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ হামলার পর হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে শনিবার রাজধানী তেল আবিবসহ মধ্য ইসরায়েলের বাট ইয়াম, আশদদ শহরে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা। এরপর অন্তত ১৮টি অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানায় টাইমস অব ইসরায়েল।
রেড এলার্ট জারি করা এসব জায়গার মধ্যে ছিল তেল আবিবের সিটি সেন্টার, দক্ষিণ তেল আবিব, জাফফা, বাত ইয়াম এবং লাখিস অঞ্চলের আসদদের উত্তরের শিল্পাঞ্চল, আসদদের আলেফ, বেত, দালেত, হেহ। এ ছাড়া দক্ষিণ শেফালার কাফর হানাগিদ অঞ্চলেও রেড এলার্ট জারি করা হয়।
তার আগে দক্ষিণ ইসরায়েলের কিছু শহরে হামলা করে ইরান সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ। হামলায় আক্রান্ত এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
অন্যদিকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে দফায় দফায় হামলা হয়েছে। এ ঘটনার জবাবে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাড ও প্যাট্রিয়ট পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন।
এর আগে ইসরায়েলকে সহায়তা করতে মধ্যপ্রাচ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরী ও দুই হাজার নৌসেনা পাঠিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এসবের সঙ্গে এবার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যুক্ত হলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি আরও জোরদার হবে।
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের জেরে সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা বিভিন্ন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। এ ছাড়া ইয়েমেন উপকূলের কাছে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এমনকি এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করলে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছে ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এমনকি ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব হুমকি-আলটিমেটামের মধ্যে মাত্র চার দিনে পাঁচবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর এই অঞ্চলে মার্কিন সক্ষমতা বাড়াতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করবে।
মন্তব্য করুন