সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে চীন। ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই চীনের এসব যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নিয়ে মুখ খুলেছে চীন।
গত ১৪ অক্টোবর চীনা সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজসহ ছয়টি যুদ্ধজাহাজ অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে মাস্কাট উপকূল ছেড়ে যায়। এরপর চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব যুদ্ধজাহাজ ১৮ অক্টোবর পাঁচ দিনের শুভেচ্ছা সফরে কুয়েতের শুওয়াইখ বন্দরে নোঙর করেছে।
এরপর গত রোববার ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব যুদ্ধজাহাজ চীনে ফিরে যাবে নাকি মধ্যপ্রাচ্যে থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে চীনা বিশ্লেষদের দাবি, চীনের এসব যুদ্ধজাহাজ মধ্যপ্রাচ্যে শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে রুটিন এসকর্ট মিশনে কুয়েতে এসেছে। বর্তমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে হস্তক্ষেপের জন্য নয়।
রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধকে জড়িয়ে চীনা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের বিষয়ে ভিত্তিহীন প্রচারণা বন্ধের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চীনা নৌবাহিনীর একটি বহর এসকর্ট মিশন করছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে তারা তা করছে। এই সত্যকে সম্মান করে ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ করা উচিত।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েলের সহায়তায় এরই মধ্যে সেখানে দুটি অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ও দুই হাজার নৌসেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সামরিক বা বেসামরিক বিমান পাঠিয়েছে। চীন বিমান না পাঠালেও নাগরিকদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট ধরে ইসরায়েল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এই যুদ্ধ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পেরিয়ে অঞ্চলটির অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা বেশ জোর দিয়েই বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে চীনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়।
মন্তব্য করুন