ইসরায়েলকে হারাতে এবার একজোট হয়েছে ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। একক আক্রমণের পরিকল্পনা থেকে এবার তারা প্রস্তুত হচ্ছে সম্মিলিত আক্রমণের, লক্ষ্য ইসরায়েলি সেনাদের ওপর যে কোনো মূল্যে বিজয় অর্জন। এ বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দল হামাস ও ইসলামিক জিহাদের প্রধানরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জোট গঠনের জন্য হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ নেতারা একত্রিত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় হিজবুল্লাহ। বুধবারের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরোওরি ও ইসলামি জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল নাখলা।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল মানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু হওয়ার পর যুদ্ধের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। একই সঙ্গে তারা গাজা ও লেবাননসহ বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করেন।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়, আল আরোওরি ও নাখলার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দেশগুলোর অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন হাসান নাসরুল্লাহ। একই সঙ্গে তারা সংকটময় মুহূর্ত মোকাবিলায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পদক্ষেপগুলো মূল্যায়ন করেন যাতে গাজা ও পশ্চিম তীরের জনগণের ওপর নির্মম অত্যাচার বন্ধ করা যায়। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেবানন সীমান্তে প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
বুধবার লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের আরও দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানায় তারা। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে চলমান যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার।
মন্তব্য করুন