কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘নিজ ভূমিতে মারা যাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের’

ফাতিমা ইমান।
ফাতিমা ইমান।

ঘর হারিয়ে অবরুদ্ধ গাজার ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছেন ইসরায়েলি হামলার ভুক্তভোগী ফাতিমা ইমান। তিনি উপত্যকার রাফাহ নামের একটি শহরে বসবাস করছেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু মৃত্যুকে পরোয়া না করে, বিধ্বস্ত ঘরের আঙিনায় দিন কাটাচ্ছেন তিন সন্তানের এই জননী।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমাদের মাতৃভূমি। আমরা এখানেই জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্মও এই মাটিতে। আমারা কেন এ ভূমি ছেড়ে যাব? নিজ ভূমিতে মরতে পারাটাও আমাদের জন্য সম্মানের।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন সকালে সন্তানদের নিয়ে পাশের একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। খালি হাত-পায়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আমরা। সঙ্গে করে শুধু দুটি বোরকা আনতে পেরেছিলাম। ওই দিনই বাসা ছাড়ার ৫ মিনিট পরেই আমাদের বাড়ির ওপর বোমা ফেলা হয়।’

সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ফাতিমা ইমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বাড়ির ওপর বোমা ফেলার খবর তারা পরে পেয়েছিলেন। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে নিজ চোখে দেখেন এই ধংসযজ্ঞ।

‘আমরা দ্বিতীয় দিন অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্বাস করার চেষ্টা করছিলাম, আমাদের বাড়ি অক্ষত আছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। এখন রাতের বেলায় আমরা স্কুলে আশ্রয় নেই। আর দিনের বেলায় ধ্বংস করে দেওয়া বাড়ির আঙিনায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকি। এখানে আমাদের বাড়িটি নেই, কিন্তু ভূমিটা তো আমাদের। এটাই এখন একমাত্র সান্ত্বনা।’

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হলেও এগিয়ে আসছে না বিশ্ব সম্প্রদায়। উপত্যকাজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় মহাসমুদ্রে কয়েক ফোঁটা পানি ফেলার মতোই।

‘আমরা কেমন আছি, সেটা দেখতেই পাচ্ছেন। খাওয়ার জন্য অস্থায়ী চুলায় আটার সুজি বানাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা কেমন আছি, তা দেখতে কেউ আসেনি, কোনো খবরও রাখেনি। আমরা মোটামুটি একটি দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে, বুধবার গাজায় ত্রাণবাহী ১০৬টি ট্রাক ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এসব ট্রাকে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী নেওয়া হলেও গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

জবি শিক্ষার্থীদের বাস সেবা দিতে চায় শিবির, অনুমতি দেয়নি কমিশন

ইউক্রেন শান্তি চুক্তি আলোচনায় বড় অগ্রগতি

এসএসসি পাসে মীনা বাজারে চাকরির সুযোগ

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

পুরুষদের প্রস্টেট চেক করানো কেন জরুরি

১০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫২ জনের গণশুনানি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় ঢাকা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই : ইরান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধে বৃদ্ধ নিহত

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

হুমকির মুখে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় গ্রিড লাইন

১২

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পদত্যাগ

১৩

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকতে পারে

১৪

আড়ং ডেইরিতে নিয়োগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৫

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৬

নাশতায় যেসব খাবার নীরবে বাড়াচ্ছে আপনার রক্তচাপ

১৭

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৯

বিয়ের সাজ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সিনেমা স্টাইলে হাসপাতালেই বিয়ে

২০
X