ইসরায়েলের বিচার বিভাগ সম্পর্কিত বিতর্কিত একটি সংস্কার বাতিল করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জন বিচারকের মধ্যে আটজন বিচারক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এ সংস্কার উদ্যোগের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
সোমবার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে আদালত বলেছেন, নেতানিয়াহু সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের চরম ও নজিরবিহীন ক্ষতি করেছে।
লাখ লাখ ইসরায়েলির টানা বিক্ষোভের পরও গত বছর দেশের বিচার বিভাগে সংস্কার আনতে পার্লামেন্টে একটি বিতর্কিত আইন পাস হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, ইসরায়েলে সরকারের গৃহীত কোনো পদক্ষেপকে অযৌক্তিক মনে করলে তা বাতিল করতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নতুন এ আইনের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আর সে ক্ষমতা থাকত না। বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমাতে নেতানিয়াহু সরকার বেশকিছু সংস্কার উদ্যেগের অংশ হিসেবে গত জুলাইয়ে আইনটি পাস করা হয়।
বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমাতে সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবসহ বড় বড় শহরে কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন দেশবাসী। দেশটির ইতিহাসে এত বড় বিক্ষোভ আগে কখনো হয়নি।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে নেতানিয়াহু আসলে আদালতের স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছেন। প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে নির্বাচিত সরকার বিচারক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। পার্লামেন্টের ক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের ওপর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের সমালোচনা করে ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন বলেছেন, বিচারকরা দেশের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড। সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ইসরায়েলের নাগরিকদের রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন