অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাফা শহরে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গেল বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর উত্তর ও মধ্য গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিসহ এই এলাকায় এখন প্রায় ১৪ লাখ মানুষ অবস্থান করছেন। স্থল অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে ওই দুটি অঞ্চলের বাসিন্দারা রাফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সর্বশেষ এ অঞ্চলেও নিজেদের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো শুরু করেছে নেতানিয়াহুর সেনারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে নির্বিচারে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় হাতে আটক দুই বন্দিকে উদ্ধার করার কথাও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। বলা হয়েছে, উদ্ধারের সময় বন্দিরা সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ছিলেন।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, আইডিএফ, ইসরায়েলি পুলিশ ও ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের যৌথ অভিযানে দুই ইসরায়েলিকে উদ্ধার করা হয়। এ দুজনকে গেল ৭ অক্টোবর কিব্বুৎজ নির ইৎজাক এলাকা থেকে বন্দি করা হয়েছিল। তারা হলেন-৬০ বছর বয়সী সিমন মারমান ও ৭০ বছর বয়সী লুইস হার। এ উদ্ধার অভিযানকে আকর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার রাত থেকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর হামলায় রাফা শহরে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ইসরায়েলি বোমার আঘাত ধ্বংস হয়েছে ৩টি মসজিদ ও কয়েক ডজন ভবন।
এদিকে গাজার সর্বশেষ নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত রাফাহ শহরে হামলার চরম পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী দল হামাস। এমনকি এ ধরনের হামলা বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যোদ্ধাদলটি। এক বিবৃতিতে রাফা শহরে ইসরায়েলি হামলাকে নাৎসি বাহিনীর হামলার সঙ্গে তুলনা করেছে হামাস।
ইসরায়েলের এমন হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও। এমনকি গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে মিত্রতার স্বপ্ন দেখা সৌদি আরবও মৌখিকভাবে এ হামলা নিয়ে সতর্ক করেছে।
মন্তব্য করুন