গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা চলছে মিসরের রাজধানী কায়রোতে। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির আলোচনায় 'উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি' দেখা গেছে বলে জানিয়েছে মিসরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, মিসর, কাতার ও হামাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
উচ্চপর্যায়ের মিসরীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল কাহেরা বলেছে, চুক্তির বিতর্কিত কিছু পয়েন্টে অগ্রগতি হচ্ছে। সোমবার এ খবর জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে এর আগেও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কয়েক দফা আলোচনা চালালেও তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
আল কাহেরা আরো জানিয়েছে, কাতার ও হামাসের প্রতিনিধি দল কায়রো ত্যাগ করেছে। আশা করা হচ্ছে দু’দিনের মধ্যে তারা ফিরে এসে চুক্তির শর্তাবলি চূড়ান্ত করবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিসরের রাজধানী ছেড়ে যাবেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য তারা ৪৮ ঘণ্টা সময় নেবেন।
ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই সংঘাত নিরসনে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ রয়েছে। এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
এমনকি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র ও প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির দাবি করেছে। সঙ্গে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতেও অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষিত রাখতে না পারলে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিমালার পরিবর্তন হতে পারে, এমন হুমকিও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মিকে করে। এখনো তাদের হাতে ১৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।
৭ অক্টোবর গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৩ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন