সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইরান। ইরানের এই হামলার পর ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। প্রতিশোধমূলক এই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার, (১৬ এপ্রিল) এরদোয়ান বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমাদের হৃদয়ে যে উত্তেজনা গ্রাস করেছিল, তার জন্য প্রধান দায়ী হলেন নেতানিয়াহু এবং তার নিষ্ঠুর প্রশাসন।
আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত শনিবারের ঘটনাগুলোকে শূন্যতায় দেখা অন্যায়। তিনি বলেন, ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমাদের হৃদয়ে যে উত্তেজনা গ্রাস করেছিল তার জন্য প্রধানত একজন দায়ী, তিনি হলেন নেতানিয়াহু এবং তার রক্তাক্ত প্রশাসন।
এরদোয়ান বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে, ইসরায়েলি সরকার পুরো অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উসকানিমূলক পদক্ষেপ বেছে নিয়েছে। ইসরায়েলি সরকার আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এরদোয়ান বলেন, আমরা পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত-মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখেছি, তারা ইসরায়েলে ইরানের হামলার নিন্দায় ব্যস্ত, অথচ সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার ঘটনায় চুপ ছিল।
বর্তমান সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল বাহিনী গাজায় ‘নির্বিচারে’ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, যার মধ্যে মানবিক সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরাও রয়েছে। তুর্কি নেতা দাবি করেন, ১৩২ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল গণহত্যামূলক নীতি বাস্তবায়ন করছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। গত শনিবার রাতের এ হামলায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দেশটি।
ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইরান বলছে, তারা নতুন করে উত্তেজনা চায় না। তবে আক্রমণের শিকার হলে সেকেন্ডের ব্যবধানে জবাব দেবে।
মন্তব্য করুন